সকল পর্যায়ে দুর্নীতির বিরুদ্ধে সামাজিক প্রতিরোধ গড়ে তুলতে হবে।এবিষয়ে গণসচেতনতা সৃষ্টি করতে হবে। বললেন রাষ্ট্রপতি মো. আবদুল হামিদ।
আজ (বুধবার) বিকেলে বঙ্গভবনে রাষ্ট্রপতির কাছে দুর্নীতির দমন কমিশনের (দুদক) বার্ষিক রিপোর্ট-২০১৬ পেশ করা হয়। এসময় দুর্নীতির দমন কমিশনের উদ্দেশে এ কখা বলেন তিনি।
দুদকের চার সদস্যের একটি প্রতিনিধিদল সংস্থার চেয়ারম্যান ইকবাল মাহমুদের নেতৃত্বে বঙ্গভবনে যান।
রাষ্ট্রপতি বলেন, দুর্নীতি প্রতিরোধে তৃণমূলসহ সব পর্যায়ে সচেতনতা সৃষ্টির কোনো বিকল্প নেই। সামাজিক প্রতিরোধ সব রকমের দুর্নীতির রোধে সহায়ক হবে।
আবদুল হামিদ বলেন, যথাযথ তদন্তের মাধ্যমে দুর্নীতি সংক্রান্ত মামলাগুলো সময় মতো নিষ্পত্তি এবং প্রয়োজনীয় পদক্ষেপ নিতে হবে।এ ব্যাপারে পদক্ষেপ নেয়ার জন্য দুদক প্রতিনিধিদলকে উপদেশ দেন তিনি।
পরে রাষ্ট্রপতির প্রেস সচিব জয়নাল আবেদিন এ তথ্য জানান।
দুদক প্রধান ইকবাল মাহমুদ সংস্থার সার্বিক কর্মকাণ্ড এবং গেলো বছরের সাফল্য সম্পর্কে রাষ্ট্রপতিকে অবহিত করেন। তিনি দুদকের কর্মকাণ্ড আরো জোরদারে রাষ্ট্রপতির সমর্থন ও দিক-নির্দেশনা কামনা করেন।
ইকবাল মাহমুদ বলেন, ২০১৬ সালে দুদক ১২ হাজার ৯৯০টি দুর্নীতির অভিযোগ পেয়েছে। এরমধ্যে ১ হাজার ৭টি অভিযোগ তদন্তের উদ্যোগ নিয়েছে দুদক। ৫৮৮টি অভিযোগ সংশ্লিষ্ট অধিদপ্তর ও মন্ত্রণালয়ে পাঠানো হয়েছে প্রয়োজনীয় ব্যবস্থা নেয়ার জন্য।
তিনি আরো বলেন, দুদক ২০১৬ সালে ৩৫৯টি দুর্নীতির মামলা দায়ের করেছে।
এ সময় দুদক কমিশনার ড. নাসির উদ্দিন আহমেদ, আ ফ ম আমিনুল ইসলাম এবং রাষ্ট্রপতির সংশ্লিষ্ট সচিবরা উপস্থিত ছিলেন।
জেএইচ